ডোমকল মহকুমার অধিকাংশ পঞ্চায়েতের বোর্ড দখল তৃনমূলের। ডোমকল মহকুমার ২৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১ টি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল বুধবার।১১ টি বোর্ডের মধ্যে ৭ টি বোর্ড দখলে রাখলো তৃনমূল। বাকি ৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বাম কংগ্রেস জোট পক্ষ বোর্ড দখল করল। বোর্ড দখল হতেই উল্লাসে ভাসলো শাসক-বিরোধী উভয় শিবির।
এদিন জলঙ্গি ব্লকের ঘোষপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরুর কিছুক্ষনের মধ্যেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বোর্ডের ২৩ টি আসনের মধ্যে তৃনমূল ১৪ টি আসনে ও বাম কংগ্রেস ৯ টি আসনে জয় পেয়েছিলো। তৃনমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও, প্রধান কে হবে তা নিয়েই বোর্ড গঠনের মধ্যেই বিবাদ বাঁধে তৃনমূলের জয়ী সদস্যদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। পরিস্থিতি সামলাতে তৃনমূলের জয়ী ৪ সদস্যকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিস। আর এরপরেই বিশৃংখল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় উত্তেজিত তৃনমূল সমর্থকদের মধ্যে । পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠি চালাতে বাধ্য হয় পুলিস। এরপর পুনরায় ওই সদস্যদের বোর্ড গঠনের জন্য পঞ্চায়েতে ঢুকতে দেওয়া হয়। অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার চার সদস্যও তৃনমূলকে সমর্থন দেয় এবং তৃনমূলই বোর্ড দখল করে । বোর্ডের নতুন প্রধান হন তৃনমূলের ফিরোজ আলী এবং উপপ্রধান হলেন কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হওয়া সরিফা বিবি।
জলঙ্গির খইরামারী গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ডে বাম কংগ্রেসের সমর্থনে প্রধান হলেন মিঠুন বিশ্বাস। এদিকে উপপ্রধানের পদ তপশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত থাকায় , উপপ্রধান হলেন তৃনমূলের টিকিটে জয়ী হওয়া দীপালি মন্ডল।
বুধবার জলঙ্গি ব্লকের ২ টি পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃনমূলের একটি পঞ্চায়েত হাতছাড়া হলেও ডোমকল ব্লকের ৩ টি পঞ্চায়েত বোর্ডের মধ্যে তিনটিতেই বোর্ড দখল করলো তৃনমূল। ডোমকলের রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন সকিনা বিবি এবং উপপ্রধান হলেন কণিকা বিবি। গড়াইমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন হাসানুজ্জামান মন্টু এবং বোর্ডের উপপ্রধান হলেন সাবিনা বিবি । ঘোড়ামারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন বেবি নাজমিন এবং উপপ্রধান হলেন বিলকিস বেগম।
মঙ্গলবার রানিনগর ২ ব্লকের তিনটি পঞ্চায়েত বোর্ডের মধ্যে তিনটিতেই বোর্ড দখল করেছিলো বাম কংগ্রেস জোট , বুধবারই বোর্ড গঠনে তার ব্যতিক্রম হল না।রানিনগর ২ ব্লকের তিনটি পঞ্চায়েতেই বোর্ড দখলে নিল বাম কংগ্রেস জোট । ব্লকের কাতলামারী ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন মাফরোজা খাতুন এবং উপপ্রধান নির্বাচিত হলেন অফিরুল ইসলাম। কাতলামারী ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ডের প্রধান হলেন ধনঞ্জয় মন্ডল ও আবুল কাসেম মন্ডলকে উপপ্রধান নির্বাচন করা হল।
রানিনগর ১ ব্লকেরও তিনটি পঞ্চায়েতের মধ্যে তিনটিতেই বোর্ড দখল করে হ্যাট্রিক করল শাসকদল। হুড়শী গ্রাম পঞ্চায়েত , লোচনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিলো বুধবার। এদিন তিনটি পঞ্চায়েতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বোর্ড দখলে রাখলো তৃনমূল ।
যেখানে পাহাড়পুর , অঞ্চলের প্রধান হলেন দিলশাদ হোসেন মন্ডল , আর উপ প্রধান হলেন মনিকা মন্ডল . উল্লেখ্য পাহাড়পুর অঞ্চলে মাত্র একটা বুথ নির্দল পেয়েছিল আর বাকি সমস্ত বুথ তৃণমূল কংগ্রেসের দখলেই ছিল । আর বোর্ড গঠনের পরও পাহাড়পুর আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের দখলেই থাকলো।
লোচনপূর অঞ্চল , এখানে মোট ২৩ টি বুথের মধ্যে মাত্র একটা জোটের দখলে আর বাকি 22 টাই ছিল তৃণমূলের দখলে , আজ বোর্ড গঠনের পর লোচনপুর অঞ্চলের প্রধান হলেন নাসিমা বিবি , আর উপ প্রধান হলেন আমজাদ সেখ ।
অপরদিকে হুড়সি অঞ্চলের প্রধান হলেন সীমা বিবি
আর উপ প্রধান হলেন সান্তনা মন্ডল।