Delwar hossain sayeedi death News : দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে কেঁপে উঠেছে গোটা বাংলাদেশ? কিন্ত কে এই দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী? কীভাবেই বা তাঁর মৃত্যু হল? দেখুন…..
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্ত কীভাবে মৃত্যু হল তার?
হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগ থেকে জানানো হয়, সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আবারও ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয়। আর তাতেই পরলোকগমন করেন তিনি। জানেন কি, কেন এত বিখ্যাত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
কাশিমপুর কারাগারেই ছিলেন তিনি। কারগার থেকে সাঈদী অসুস্থ হয়ে পড়লে রবিবার তাকে গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
পরে তাকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সাঈদীর মৃত্যুর জামায়াতে ইসলামীর কর্মী-সমর্থকরা ওই হাসপাতালে জড়ো হন। সেখানে জমায়েত এতটাই হয় যে, সে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির সাঈদীর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। কেন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাগার বন্দি করা হয়েছিল?
২০১০ সালের ২৯ জুন, একটি মামলায় ঢাকার শাহীনবাগের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই কারাগারে ছিলেন সাঈদী। এরপর একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারের মুখোমুখি করা হয় তাকে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল।
কিন্ত ওই রায়ের পর দেশজুড়ে সহিংসতা চালায় জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। আর ওই তাণ্ডবে প্রথম তিন দিনেই অন্তত ৭০ জন নিহত হন। পাশাপাশি বহু গাড়ি-দোকানপাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হিন্দুদের মন্দির-ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়।
এরপর সাঈদী আপিল করলে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় দেয়। সেই রায়েই সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ আসে। পরে এই রায়ের পুনর্বিবেচনারও আবেদন করা হয়। কিন্ত তাতেও কোনো পরিবর্তন আসেনি। যার ফলে কারাগারেই ছিলেন দোলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।